ছবি- গর্ত থেকে উদ্ধার করা লাশ
গতকাল রোববার ভোরে উপজেলার শ্যামপুরের নন্দনপুরে একটি চাষ করা জমিতে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ও মামলার আইও শহীদুল্লাহ কায়সার জানান, গত ১১ জানুয়ারি পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত কনস্টেবল রবিউল হোসেনের কাছে যান মোশারফ।
কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে রবিউল তাকে মোটরসাইকেলযোগে নিয়ে যান বদরগঞ্জের শ্যামপুরে তার দুলাভাইয়ের বাসায়। সেখানেই ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করার পর তাকে হত্যা করে রবিউল ও তার লোকজন।
পরে লাশটি বস্তাবন্দী করে নন্দন পুরের একটি চাষ করা জমিতে
এ ঘটনার বরাত দিয়ে মোশারফের ছোট বোন সাজিয়া আফরিন ডলি গত বৃহস্পতিবার কোতোয়ালি থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করলে রহস্য উন্মোচিত হয়। পুলিশ গ্রেফতার করে কনস্টেবল রবিউল হোসেন, তার দুলাভাই সাইফুল ইসলাম ও পপির বাড়ির কাজের ছেলে বিপুলকে। রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি স্বীকার করে আসামিরা।
শনিবার রাত থেকে রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালিয়ে পুলিশ রবিউলের দেখানো সেই জমি থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
উদ্ধার করা হয় মোশারফের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও।